চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে এক হোটেল শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভূষিরবন্দরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে। নিহত শ্রমিকের নাম হাবিবুর রহমান ওরফে দুখু (২২)। সে ভূষিরবন্দর বাজারের স্বাধীনের হোটেলের কারিগর ও নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের দহলাপাড়ার তাইমত আলীর একমাত্র পুত্র। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে বাঁচাতে পায়তারা চলছে।
নিহতের মা কাছুমাই জানান, দুখু স্বাধীনের হোটেলে দীর্ঘ দিন ধরে কারিগরের কাজ করে আসছিল। হোটেলে কাজ করাকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী ফতেজংপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবিবের (২৩) নামের মিল থাকায় বন্ধত্ব গড়ে ওঠে। হাবিব ভূষিরবন্দর বাজারে বউ নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত। সে সুবাদে হাবিবের বাড়িতে দুখুর যাতায়াত ও ধারদেনার সর্ম্পক তৈরি হয়। এর এক পর্যায় দুখুর পরিবারে অর্থের প্রয়োজন দেখা দেয় এবং হাবিবের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে হাবিব কৌশলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রফিফুল ইসামকে ম্যানেজ করে নিজ স্ত্রীর সাথে গোপন সম্পর্কের অভিযোগ এনে নালিশ করে। পরে হাবিব টাকা দেবে বলে দুখুকে ভাড়াবাড়িতে ডেকে নেয়। এ সময় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমানকে ফোন করে নিয়ে আসেন এবং ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে বেধরক মারপিট করে। এতে দুখুর অবস্থা বেগতিক দেখে রাতে হোটেল মালিক স্বাধীন ভ্যান যোগে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে পৌঁছে দুখু তার মাকে ঘটনার বিষয় বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর এম এ রহিম হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুর রহমান দুখুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে অভিযুক্ত রফিকুলকে বাঁচাতে একটি মহল জোড় পায়তারা করছে বলেও নিহতের মা অভিযোগ করে বলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি মারপিটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাবিবের স্ত্রী নাসরিনের সাথে দুখুর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। আর সম্পর্কের বিষয়টি সাবেক ইউপি সদস্য আতোয়ার সহ হাবিবেরা সালিশে বসেছিল। আমি সন্ধ্যায় খবর পেয়ে সেখানে যাই এবং সালিশে তাকে শাসনমূলক হালকা মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।
পরে চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ হারেসুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনা শুনেছি, অভিযোগ পেলে মামলা হবে।