ঢাকা: দশম জাতীয় নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে এ পর্যন্ত দুই জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এদের একজন হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সাবিহা নাহার বেগম ও জাতীয় পার্টির খোরশেদ আরা হক।
আজ মঙ্গলবার যাচাই-বাছাইয়ের দিনে বিটিসিএলের বকেয়া বিলের কারণে সাবিহার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। সাবিহা নাহার বেগমের কাছ থেকে বিটিসিএল ১১ হাজার ৮৩৫ টাকা বিল পায় বলে ইসি সূত্রে জানা যায়।
একইভাবে খোরশেদ আর হকের কাছে বিটিসিএলের বকেয়া ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৮৮ টাকা থাকায় তার মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। তবে তারা দুজনই আপিল করতে পারবে।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রার্থীদের বকেয়া বিল বা ঋন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার এক সপ্তাহ পূর্বে পরিশোধ করার বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের জন্য ৫০ জন নারী প্রার্থী গত ৯ মার্চ রবিবার প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের রিটার্নিং অফিসার ও ইসির যগ্ম সচিব জেসমিন টুলীর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তফসিল অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনের যাচাই বাচাইয়ের শেষ দিন ছিল আজ মঙ্গলবার। সকাল ১১টা থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে যাচাই বাছাই শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৫টা পযর্ন্ত।
প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা ক্ষতিয়ে দেখাসহ যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী, সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসির উপ-সচিব মিহির মোর্শেদ সরওয়ার।
ইতোমধ্যে ইসিতে যাচাই-বাছাই ও শুনাতি অংশ নিয়েছেন অওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা.দিপু মনি ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ মো: তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
এ আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার আগামী ১৮ মার্চ এবং নির্বাচন হবে আগামী ৩ এপ্রিল। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মনোনয়ন জমা দেয়া প্রার্থীদের যাচাই বাছাই শেষে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেবে ইসি।
নির্বাচনী আইন অনুসারে প্রতি ছয় আসনের জন্য দল ও জোট ১টি করে মহিলা আসন পাবেন। সে অনুসারে আওয়ামী লীগ ৩৯টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, জাসদ ১টি, জাতীয় পার্টি ৬টি এবং স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত জোট ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসন পাবে।এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন ।
আওয়ামী লীগ থেকেযাদের মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে তারা হলেন, অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, আমিনা আহমেদ, পিনু খান, সানজিদা খানম, নীলুফার জাফরউল্যাহ, সেলিনা জাহান লিটা, সফুরাবেগম রুমী, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, আখতার জাহান,সেলিনা বেগম স্বপ্না, সেলিনা আখতার বানু, লায়লা আরজুমান্দ বানু, শিরিননাঈম পুনম, কামরুল লায়লা জলি, হ্যাপি বড়াল, রিফাত আমিন, নাসিমা ফেরদৌসী,লুৎফুন্নেছা, মমতাজ বেগম, মনোয়ারা বেগম, মাহজাবিন খালেদ, ফাতেমা জোহরা রানী, দিলারা মাহবুব আসমা, ফাতেমাতুজ্জহুরা, সাবিনা আক্তার তুহিন, রহিমা আক্তার, হোসনে আরা বাবলী, কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, রোখসানা ইয়াসমিন ছুটি, নাভানা আক্তার, আসমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, শামছুন নাহার বেগম, ওয়াসিফা আয়শা খান, জাহানারা বেগম সুরমা, সাবিহা নাহার বেগম (সাবিহা মুসা) ও ফিরোজা বেগম চিনু।জাসদ মনোনয়ন দিয়েছে কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহেরকে। ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনয়ন দিয়েছে হাজেরা খাতুনকে।
জাপা থেকে মনোনীত যে ৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তারা হলেন- শাহানা বেগম (রংপুর), জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মাহজাবীন মোর্শেদ (চট্টগ্রাম), রওশনারা মান্নান (মানিকগঞ্জ), নুর্-ই হাসনা লিলি চৌধুরী (কুড়িগ্রাম), খোরশেদ আরা হক (কক্সবাজার) ও এরশাদের ছোট বোন মেরিনা রহমান। এরমধ্যে খোরশেদ আরা হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আর স্বতন্ত্রদের জোট থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছে কাজী রোজি, এডভোকেট নূর জাহান বেগম (মুক্তা) ও এডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল।