মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর: দিনাজপুরে এবার লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন লিচুচাষীরা। ধানের জেলা দিনাজপুরে প্রকৃতির রসগোল্লাখ্যাত লিচু চাষে ধুম পড়েছে। গাছে গাছে বাতাসে দোল খাচ্ছে লিচুর মুকুল। বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না থ্রি, কাঠালীসহ দেশীয় লিচু গাছগুলোতে এবার প্রচুর মুকুল ধরেছে। তাই চাষিরা এখন লিচু গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
গাছে থোকা থোকা লিচু মুকুল আগমনই বলে দিচ্ছে দিনাজপুরে এবার লিচুর ভালো ফলন হবে। তাই দিনাজপুরের লিচু চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লিচু গাছের পরিচর্চায়। অনেকে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করছেন গাছে। লাভজনক ফল হওয়ায় অনেকে ধান ও অন্যান্য ফসলের জমিতে লিচু গাছ লাগিয়েছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল আলম জানান, দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ১ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে রয়েছে লিচুর বাগান। এছাড়াও বসতবাড়িতে ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। ছোট বড় মিলে তিন হাজার বাগানে রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৭২ হাজারের বেশি লিচুর গাছ। প্রতি বছর লিচু বিক্রি থেকে অর্জিত হয় আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মতে, প্রকৃতি এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলন হবে। বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না থ্রি, কাঠালীসহ দেশীয় লিচু গাছগুলোতে এবার রেকর্ড পরিমাণ ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ। দিনাজপুর সদর, বিরল, কাহারোল চিরিরবন্দর, বীরগঞ্জ পার্বতীপুর এলাকার লিচু বাগানগুলোতে প্রচুর মুকুল ধরেছে। লিচুর মুকুল রক্ষা ও রোগ-বালাই থেকে মুক্ত রাখতে নিয়মিত লিচু চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। লিচু বাগান পরিচর্যা আর পাহারা দিয়ে ভালো ফলন পাবেন এই প্রত্যাশা বাগান মালিক এবং আগাম অর্থ দিয়ে কেনা বাগান ক্রেতাদের।
লিচু গাছ পরিচর্যায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষিবিদরা।