সিসি নিউজ: আত্মসমর্পণ করার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোস্তফা কামালকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করলে বিচারক বাসুদেব রায় শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসএ পরিবহন ও এসএ টিভির স্বত্বাধিকারী সালাহউদ্দিন আহমেদকে আটক করে অবৈধভাবে ৫০ লাখ টাকা আাদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রেলওয়ে পুলিশের এসপি মোস্তফা কামালকে গত ১৯ ডিসেম্বর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ৩নং স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন তাকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় এ দণ্ড দেন।
এছাড়াও ওই এসপিকে দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৭ পঠিতব্য প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট এর ৫(২) ধারার অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলায় অপর অভিযুক্ত এসআই ওয়াহেদ মিয়াকে খালাস দেয়া হয়েছে।
এর পর তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। পরে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ তার জামিন আদেশ বাতিল করে তাকে নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী তিনি সোমবার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদাতে আত্মসমর্পণল করেন।
২০০৩ সালের ২০ নভেম্বর এস এ পরিবহনের স্বত্বাধিকারী সালাহউদ্দিন আহমদ নীলফামারীর সৈয়দপুরের রেলওয়ের পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ও এসআই ওয়াহেদ মিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, ২০০২ সালের ২২ ডিসেম্বর তিনি নিজ গাড়িতে ২০ লাখ টাকা নিয়ে সিলেট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হবিগঞ্জের মাধবপুরে তল্লাশির নাম করে পুলিশ গাড়িটি আটক করে। বাদী তার পরিচয় দিলে রাতে টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানার জিডি করতে বলেন। জিডি করতে থানায় গেলে হবিগঞ্জের তৎকালীন এসপি মোস্তফা কামাল এসএ পরিবহনের স্বত্বাধিকারী সালাহউদ্দিন আহমেদসহ অন্যদের হাজতে ঢুকাতে ওয়্যারলেসে ওসিকে নির্দেশ দেন। এরপর তাকে আটক করে তার নামে মানি লন্ডারিং, মাদক ও নারী ও শিশু নির্যানতন আইনে পৃথক ৩টি মামলা করা হয়। বাদী আরো উল্লেখ করেন, পরবর্তীতে আসামিরা বাদীর হেড অফিসে খবর পাঠায় আটককৃত ২০ লাখ টাকাসহ ৫০ লাখ টাকা দিলে সকলকে ম্যানেজ করে মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।