লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ছবি তুলতে নিষেধে শিক্ষকসহ ৬ স্কুল ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনায় সাইদী হোসেন মুন্না (১৮) নামের এক বখাটেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কাশ বর্জন।
রোববার দুপুরে গ্রেফতার বখাটে মুন্নাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। গ্রেফতার বখাটে সাইদী হোসেন মুন্না লালমনিরহাট সদর উপজেলার তালুক হারাটী গ্রামের এমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসলাম ইকবাল জানান, মোবাইলে ছবি তুলতে নিষেধ করায় আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকসহ ৬ ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনায় শনিবার রাতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বাদশা বাদি হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আরও অজ্ঞাত ৮/১০ কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদিতমারী থানা পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে সাইদী হোসেন মুন্না নামের এক বখাটেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে বাকী বখাটেদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রোববার থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করেছে।
এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে রোববার সকালে হাসপাতালে এবং ওই বিদ্যালয়ে আসেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এটিএম মোজাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, শনিবার আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণের জন্য ওই বিদ্যালয় থেকে ২৮ জন ছাত্রছাত্রী খাতাপাড়া বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় মানসিকা ভবণে যায়। এসময় ওই এলাকার কতিপয় চিহ্নিত বখাটে যুবক মোবাইল ফোনে ছাত্রীদের ছবি তোলার চেষ্টা চালায়।
ছবি তুলতে বাঁধা দেয়ার অপরাধে শনিবার বিকালে লালমনিরহাট প্রাইমারী শিক প্রশিণ কেন্দ্রের সামনে অটোরিক্সার পথরোধ করে ছাত্রীদের মারধর করে বখাটেরা। ছাত্রীদের রক্ষা করতে গিয়ে বখাটেদের হাতে আহত হয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রসন্ন কুমার রায়। বর্তমানে ৬ ছাত্রী ও একজন শিক্ষক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।