• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন |
শিরোনাম :
তাপপ্রবাহ নিয়ে ৭২ ঘণ্টার সতর্কতা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উত্তরের চার জেলার সাথে রংপুরের বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা খানসামায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীতে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে ৩৯টি স্টলে উন্নত জাতের পশু-পাখি প্রদর্শন নীলফামারীতে প্রানি সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শণী শুরু ক্ষেতলালে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ‍্যে হাতাহাতি  সড়ক দূর্ঘটনায় সংগীত শিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২ পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, জনজীবন বিপর্যস্ত কারারক্ষী ও নারী কয়েদির অনৈতিক সম্পর্ক: নারী হাজতিকে মারধরের অভিযোগ

তারাগঞ্জে শিক্ষিকা অপহরণ ঘটনায় থানায় মামলা

Opoবদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকাকে অপহরণের অভিযোগে জামায়াত নেতা সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপহরণ ঘটনার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি অপহৃতা শিক্ষিকা বিপালী বেগমকে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকার স্বামী শাহেদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপার আতাউর রহমান ও একই মাদ্রাসার সহকারী সুপার বদরগঞ্জ পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী আশরাফ আলীকে আসামী করে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯ মার্চ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি দাখিল মাদ্রাসায়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, হাড়িয়ারকুঠি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষিকা বিপালী বেগমের সাথে ওই মাদ্রাসার সুপার আতাউরের চাকুরীর সুবাদে সখ্যতা গড়ে উঠে। এ সুযোগে গত ১৯ মার্চ শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে কাজের কথা বলে শিক্ষিকা বিপালী বেগমকে নিয়ে সুপার আতাউর রহমান পার্শবতী বদরগঞ্জ উপজেলার পৌরশহরের বালুয়াভাটা মহল্লায় একই মাদ্রাসার সহকারী সুপার আশরাফ আলীর বাসায় নিয়ে যান। এরপর থেকে বিপালী তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যায়নি। বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় বিপালীর অবুঝ সন্তান কান্নাকাটি শুরু করে। এক পর্যায়ে বিপালীর স্বামী শাহেদুল ইসলাম বিপালীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তার ফোন বন্ধ থাকায় স্ত্রী বিপালীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। অবশেষে গত ২৪ মার্চ অপহরণের অভিযোগে ওই দুই সুপারের বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু দমন আইনের ৭ এর ৩০ ধারায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে সুপার আতাউর রহমান ও তার সগযোগী সহ-সুপার আশরাফ আলী গা ঢাকা দিয়েছেন। মাদ্রাসা চত্বর এলাকার অভিভাবকসহ স্থানীয়রা ওই সুপারের শাস্তির দাবীতে ও তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের জন্য গণ স্বাক্ষর করে জমা দেয় তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। শাহেদ আলী বলেন, দুই সুপার একজোট হয়ে আমার স্ত্রীকে অপহরণ করেছে। আমার অবুঝ সন্তান মাকে না পেয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে কান্নাকাটি করছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব হোসেন লেবু চৌধুরী বলেন, সুপার আতাউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ