সিসি ডেস্ক: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অশিক্ষিত, কুলাঙ্গার, মিথ্যাবাদী, মুর্খ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজের হলরুমে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, ‘তারেক ইতিহাস বিকৃত করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তারেক মিথ্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। সে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। তারেক পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াতকে প্রতিষ্ঠিত করতে বিএনপি এখন তারেককে দিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করাচ্ছে।’
হানিফ আরো বলেন, ‘তারেক জিয়া চারবার পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাশ করেছেন। সে ঢাকায় বসবাস করে মানিকগঞ্জ গিয়ে তিনবারে এইচএসসি পাশ করেছে। সে অশিক্ষিত। সে নিজেকে খুব মেধাবী মনে করে। অল্প বিদ্যা যে ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ তারেক জিয়া। তারেক লন্ডনে প্রথমে বলল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রতি। তারপর বলল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী। তারেক পাকিস্তানের মিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করতে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
মহান মুক্তিযুদ্ধ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওই সময় মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগারে বন্দী থাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করা হয়। প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল তাজউদ্দিনকে। সেই মুজিব নগর সরকার এর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি পার্লামেন্টে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়।’
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি প্রমুখ।