তিনি বলেন, থাই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি আটক হওয়ার তথ্য পাওয়ার পর বাংলাদেশ দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে এসব আটককৃত সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য থাই সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয় এবং এই অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস এপর্যন্ত ২১৪ জনের শনাক্তকরণ নথি আমাদের কাছে পাঠিয়েছে এবং আমরা তা যাচাই বাছাই করে দেখছি। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অপর কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ এ পর্যন্ত ২১৪ জনের মধ্যে ৬৮ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরো শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
সূত্রমতে আটককৃতদের মধ্যে অন্তত: ২’শ জনকে নভেম্বর থেকে বিভিন্ন সময়ে আটক করা হয়েছে। যারা থাইল্যান্ডের বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছে। মোস্তফা কামাল বলেন, আটককৃতরা আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের জানায়, তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের এজেন্টদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। এমনকি টাকার আশায় থাই এজেন্টরা তাদেরকের মারধোরও করতো। কামাল বলেন, পররামন্ত্রণালয় থাইল্যান্ডে আটক এসব বাংলাদেশিদের শনাক্তকরণ নথি যাচাইবাছায়ের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রন্ত্রণালয় থেকে যাচাই বাছাই শেষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, যাচাইবাছাই শেষে প্রতারণার শিকার হয়ে থাইল্যান্ডে আটক সকল বাংলাদেশিকেই দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এ ধরনের বিষয় নিয়ে কোন দেশের আসে আমাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হোক তা আমরা চাই না।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এরইমধ্যে থাইল্যান্ডে আটক ৭ জনের পরিবার তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পররামন্ত্রণালয়ে প্লেনের টিকিট জমা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, থাইল্যান্ড থেকে আটককৃত এসব বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকার বেশি প্রয়োজন হবে না। গত তিন মাসে ইরান থেকে ৮০ জন, ইসরাইল থেকে একজন এবং লেবানন থেকে ১০জনকে থেকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
ঢাকা ট্রিবিউন