সিসি নিউজ: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ইউএনও প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ। বুধবার সকাল ১০টায় ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অশালীন আচরণের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফুলবাড়ী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক বলেন, ইউএনও চেয়ারম্যানদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই কাবিখা, টিআর, এডিপি, কর্মসৃজন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বরাদ্দে নিজের জন্য ভাগ রেখে ইচ্ছামত বন্টন করেন। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে জিআর এর ১০ মে. টন চাল, এডিপি’র মোট ১ কোটি ১হাজার টাকার বরাদ্দের মধ্যে ১৯ লক্ষ টাকা কোন কোন প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে তা কমিটিকে অবগত করা হয়নি। রাজস্ব খাত থেকে হাটবাজার উন্নয়নের জন্য ১৫ ভাগ টাকা ইউনিয়ন পরিষদকে না দিয়ে টালবাহানা করে যাচ্ছেন।
তাছাড়াও মুন্নি কুপন ড্র’র মালিককে আটক করলে ড্র ভন্ডুল হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা হাজী মার্কেট ভাংচুর ও লুটপাট করে। অন্যদিকে চলতি ডিগ্রি পরীক্ষায় কাশিপুর কলেজ কেন্দ্রে অন্যায়ভাবে ৫৭জন পরীক্ষার্থীর মোবাইল জব্দ করে ফেরত না দেয়ায় পরীক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে কলেজ ভাংচুর করে।
এসব বিষয় গত ২২ এপ্রিল উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করা হলে ইউএনও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন ইউএনও মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। এ সময় তিনি রাগান্বিতভাবে বলেন, আমার চেয়ারম্যান লাগে না, সচিব এবং চৌকিদার দিয়েই আমি কাজ চালাব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এরুপ অশালীন আচরণ ও অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ। বক্তব্যে তারা আরও বলেন, ইউএনওকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে।