হাবিবুর রহমান, চিলমারী(কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চিলমারীর মানুষ জেন বিদ্যুতের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছেন। বর্ষা মওসুমেও তীব্র তাপদাহে এ অঞ্চলের জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ, তার ওপর বিদ্যুতের ভেলকিবাজি।
সাধারণ মানুষ জানান, গত ৫ মাস ধরে প্রাকৃতিক কোন সমস্যা সৃষ্টি না হলেও কারণে অকারণে পল্লী এলাকাধীন বিদ্যুৎ ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকছে। দীর্ঘদিন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রাকদের। চলমান বিশ্বকাপ ফুটবল আর আসন্ন রমজানে এমনটা চলতে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সচেতন মহল। সারা দিন শেষে সন্ধ্যার পর একটু দেখা দিলেও বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। এভাবে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় বিদ্যুৎ চালিত মেশিন-যন্ত্রপাতিতে সুষ্ঠভাবে কোন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে চলতি আমন চাষে এর প্রভাব পড়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ চালিত গভীর অগভীর নলকূপ (পাম্প) বন্ধও থাকছে। এতে করে চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। একদিকে প্রচন্ড খড়া অন্য দিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। রাতে দেখা দিলেও বার বার আসা যাওয়া করে। উপজেলার উপজেলা মোড়ের কম্পিউটার ব্যবসায়ী আলমঙ্গীর সহ অনেকে জানান, প্রায় ৫/৬ মাস থেকে দিনের বেলায় তো বিদ্যুৎ থাকছে না আবার রাতে আসলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। থানাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান বাবলু বলেন, বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারনে মানুষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মহুত্বে ব্যবসায়ীরাসহ সাধারন মানুষ রাস্তায় নেমে আসা সহ ভাংচুরের মতো কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ এরিয়া অফিসের ইনচার্জ জানান, এক তো আমরা চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাচ্ছিনা এরপর আবার লাইনে কাজ চলছে এবং তাই দিনের বেলায় বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং বিদ্যুৎ সাপাই কম থাকায় একটু লোডশেডিং হচ্ছে এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। তবে রাতে বিদ্যুতের ২/৩ ঘন্টা লোডশেডিং থাকলেও বাকি সময় পুরো ভোল্টেজ সরবরাহ থাকছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সব সমস্যা দুর হবে বলে আশা করছি।