রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কর্মসৃজনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে বুধবার রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আউয়াল কর্তৃক কর্মসৃজন প্রকল্পে নাম অর্ন্তভূক্তি করার নামে জন প্রতি শ্রমিকদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ এবং গত ২৪-০৬-১৪ইং সোনালী ব্যাংক রাজারহাট শাখার অনুকুলে শেষ কিস্তির ১০ দিনের বিলের সমুদয় টাকা শ্রমিকদের জাল স্বাক্ষর ও টিপ সহি দেখিয়ে ওই ইউপি সদস্য শ্রমিকদের মজুরীর সম্পুর্ণ টাকা তুলে নেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ব্যাংকে গিয়ে ইউপি সদস্যের কাছ থেকে পুরো টাকা চাইতে গেলে ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আউয়াল নারী শ্রমিক মোছা. নুরনাহার (৩০) ও সফুরা বেগম (২৮) কে মারপিট করার জন্য তেড়ে আসে বলে শ্রমিকরা জানিয়েছে। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাজেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ছানাউল্লা নুরী বলেন, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনপূর্বক শ্রমিকদের অর্থ ফেরত দেয়া হবে। ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আউয়ালের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, শ্রমিকরা এতো মিথ্যা কথা বলতে পারে, তা আগে জানতাম না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, এদিকে উমর মজিদ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে কর্মসৃজন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে ওই ইউনিয়নটিতে কর্মসৃজন প্রকল্পের নামে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে।
হকার সড়ক দূর্ঘটনায় আহত
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দৈনিক মানবজমিনের পত্রিকা বিক্রেতা (হকার) মো. শহিদুল ইসলাম (৩২) নছিমনের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পত্রিকা দিয়ে রাজারহাট বাজার আসার পথে হাসপাতাল রেল ক্রসিং মোড়ে সেলিম নগর গামী যাত্রীবাহী একটি ভটভটি নছিমন পত্রিকা বোঝাই বাইসাইকেলটিতে ধাক্কা দিলে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরে পার্শ্ববর্তীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। নছিমনটি স্থানীয়রা আটক করেছে। হকার শহিদুল ইসলামের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেছেন প্রেসক্লাব রাজারহাট নেতৃবৃন্দ।