সিসি নিউজ: এমাসের শেষ সপ্তাহে আসছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্ল–ম বারনিক্যাট। নতুন এই রাষ্ট্রদূতকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে চলছে জল্পনা কল্পনা। কারণ এর আগে মার্শিয়া গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। তার ওপর গত নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাদের আগের অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্øিউ মজিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এখন অনেকটাই নমনীয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্যই তার ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ চৌধুরী বলেনে, একটি প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্শিয়াকে নিয়ে আমাদের আগ্রহ থাকবেই। তিনি তার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। সবচেয়ে বড় স্বার্থের জায়গা হলো যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়টি। সেখানে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে। সরাসরি কোনো বক্তব্য তারা দিচ্ছে না। মার্শিয়াও হয়তো সেটাই করবেন।
আমেরিকান সেন্টার সূত্র জানিয়েছে, এ বছরের মে মাসেই মার্শিয়া বারনিক্যাটকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মে মাস থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা, সরকারের মনোভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করছেন বারনিক্যাট। বারনিক্যাট একজন দক্ষ কূটনীতিক ।
জানা গেছে, বারনিকাট পেশা জীবনের শুরু থেকেই কূটনৈতিক কোরে যুক্ত হন। শুরুর দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও ফ্রান্স এর মার্সেইতে কন্স্যুলার অফিসার জন হোয়াইটহেড এর বিশেষ সহকারী হিসাবে কাজ করেন। এরপর মালির বামাকোতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক অফিসার ও কনস্যুলার হিসাবে কাজ করেছেন।
জানা যায়, ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মার্শিয়া সেনেগাল ও গিনি-বিসাউ এর রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অফিস পরিচালক হিসাবে মার্শিয়া ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটানে কাজ করেছেন। অাস