ঢাকা: গত কয়েক দিন ধরে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে অব্যাহতভাবে গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো এবং একের পর এক ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলটির আশঙ্কা, বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে ঢাকায় ঢুকে নাশকতাও করতে পারে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ ব্যাপারে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে বলেও আলোচনা হয়েছে শনিবার অনুষ্ঠিত দলটির এক যৌথসভায়। তাই রোবারর ঢাকার প্রবেশপথে নাশকতা রোধে অবস্থান নেবে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার দলীয় এমপি ও মহানগরের শীর্ষ নেতা, দলের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতা, পাশ্ববর্তী জেলার সভাপতি-সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথ সভা করা হয়। বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, বৈঠকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, “গোয়েন্দাদের কাছে রিপোর্ট আছে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শেষে রাজধানীতে প্রবেশ করে নাশকতা চালাতে পারে।”
এ কথার সমর্থন জানিয়ে অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “বিএনপি এখন যেভাবে হামলা-ভাঙচুর করছে, তাতে তারা আর রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তারা যে কোনো সময়ে হামলা করতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতারা বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে বিএনপি-জামায়াত-শিবির ছদ্দবেশে যেন জঙ্গি হামলা চালাতে না পারে সে জন্য গাজীপুর জেলার নেতাদের সতর্ক থাকতে নিদের্শ দেন।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সরকার দলীয় এমপিদের ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়।
যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, টুঙ্গিতে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, নারায়নগঞ্জ, সাভারসহ স্ব স্ব এলাকায় দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা সফল করতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর কথা বলা হয়।
বৈঠকে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে স্বীকার করে দলের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, “বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডই বলে দেয়, বিএনপি এখন স্বাভাবিক একটি রাজনৈতিক দল নয়, জঙ্গি সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দাঁড়াতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।”