ঢাকা : অবরোধ-হরতালের নামে বিএনপি জোটের নাশকতা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে রাজধানী ঢাকায় ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ করছে আ.লীগ। এমনটি জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব কমিটি পাড়া-মহল্লায় সতর্ক অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধে প্রশাসন ও পুলিশকে সহযোগিতা করবে। এছাড়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে রাজধানীতে সমাবেশ ও শান্তি মিছিলও করবে ১৪ দল।
তিনি আরও বলেন, আর কোনো সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। এজন্য আমরা সন্ত্রাস প্রতিরোধে নাগরিক কমিটি করেছি। ১৪ দলকে সঙ্গে নিয়ে এসব কমিটি পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাস নির্মূল করবে।
ত্রাণমন্ত্রী জানান, বিএনপি জোটের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় ১৪ দলের পক্ষে রাজধানীর গাবতলীতে সমাবেশ ও শান্তি মিছিল করা হবে। রাজধানীতে আরও কয়েকটি সমাবেশ ও শান্তি মিছিলেরও আয়োজন করা হবে।
এ সময় নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি দেশকে অকার্যকর করে দেওয়ার জন্য বর্তমানে দেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম কোনো রাজনৈতিক নেতার কাজ নয়। অথচ বিএনপি নেতাদের হুকুম, পরিকল্পনা ও টাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন এলাকার ছিনতাইকারী ও মাদকাসক্তদের দিয়েও টাকার বিনিময়ে এসব কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এ সন্ত্রাস বন্ধে যে প্রক্রিয়া কার্যকর হয়, সেই প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হবে।
এছাড়া প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মত সজাগ থাকতে হবে। সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে হবে। সন্দেহভাজনদের ওপরও নজর রাখতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ফয়েজউদ্দিন মিয়া, হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, শাহে আলম মুরাদ, আবদুল হক সবুজ প্রমুখ।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমা পরবর্তী নাশকতার আশঙ্কায় রোববার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী-ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা।