চিরিরবন্দর প্রতিনিধি : চলতি বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষকের প্রতারনার শিকার হয়ে পরীক্ষা দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে কেন্দ্র হতে ফেরত হয়ে আত্মহননের হমকি দিয়েছে মেনকি রায়। সে দিনাজপুরের চিরিরন্দর উপজেলার কারেঙ্গাতলী স্কুল হতে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সাজেদ আলী সরকার প্রতারনা করে ফরম পূরনের টাকা আত্মসাত করায় সে এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। কারণ হিসাবে জানা গেছে, চিরিরবন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র-এ (৭৪৯) এর আওতাভুক্ত কারেঙ্গাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও মথুরাপুর গ্রামের সুশান্ত রায়ের কন্যা মেনকি রায় ২০১৩ সালের নবম শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন নির্ধারিত সময়ে করতে না পারলে প্রধান শিক্ষক সাজেদ আলী সরকার পরবর্তীতে রেজিষ্ট্রেশন বাবদ তার কাছ থেকে ৫’শ টাকা ও ২০১৫ সালের পরীক্ষার জন্য ফরম পূরন বাবদ ১ হাজার ৪০০ টাকা গ্রহন করে। কিন্তু ফরম পূরন না করে ফরম পূরনকারী অপর এক বিবাহিতা ছাত্রী ও একই গ্রামের একরামুল হকের কন্যা সোহাগী আরার রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে মেনকির ছবি সংযুক্ত করে প্রবেশপত্র বাবদ আবার ৩০০ টাকা নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়। পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তব্যরত পরিদর্শক তার কাগজপত্র ভুয়া সনাক্ত করে পরীক্ষা কেন্দ্র হতে বের করে দেয়। এ ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থীনির বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক আবু সায়েমসহ এলাকাবাসী প্রতারক প্রধান শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সাজেদ আলী সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্কুলের সভাপতি আশরাফ আলী শাহ জানান, বিষয়টি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। জরুরী ভিত্তিতে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং আহব্বান করে প্রধান শিক্ষকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।