ঢাকা: বর্তমান সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রপতিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘বর্তমান সমস্যা সমাধানে আমাদের অভিভাবক রাষ্ট্রপতিকে এগিয়ে আসতে হবে। তার হাতে ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি’ আছে। এটার প্রয়োগ করে স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে হবে।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘নাগরিক ঐক্য প্রক্রিয়া’ আয়োজিত ‘জাতীয় সংকট নিরসনে, জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক গোলটেবিলি আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংকটের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সমস্যা। এটা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। এটা সহিংসভাবে সমাধান হবে না।’
এসময় বদিউল আলম আরো বলেন, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি সংলাপ আহ্বান করা দরকার। সংলাপে নির্বাচন কালীন সরকারের ধরণ নিয়ে আলোচনা হবে। আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছি না। এটা হবে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কালীন সরকার। যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এরপর নির্বাচনকালীন সরকারে জন্য আইন-কানুনের কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এছাড়া, নির্বাচনের পরে যারাই ক্ষমতায় আসবে তাদের কিছু বিষয় সমাধান করতে হবে। সংবিধানের যেখানে অসংগতি আছে সেখানে পরিবর্তন করতে হবে।’
তৃণমূল থেকে সংলাপের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে উল্লেখ করে তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান বলেন, ‘কিছুদিন আগে দুই নেত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছিলাম আপনারা সংলাপ করেন, আর না করেন অন্তত একটা কাজ করেন। এক সপ্তাহ একে অপরকে গালিগালাজ করা থেকে মুক্ত থাকুন।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘যদি এই গালিগালাজ বন্ধ হয় তবে তাদেরকে সংলাপে রাজি করানো যেতে পারে।’
‘বর্তমানে দেশে যেটা চলছে সেটা আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তাদের জন্য শুধু মানষিক যন্ত্রণাই না, শারিরিক যন্ত্রণার চেয়েও অনেক ভয়াবহ।’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ড. শাহদীন মালিকের সঞ্চালনায় গোলটেবিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রোবায়েত ফেরদৌসী, প্রযুক্তিবিদ হাবিবুল্লাহ করিম ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান।