অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক: দেশে চলমান টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে পর্যটন খাতে ব্যবসা কমেছে প্রায় ৯৫ শতাংশ। ৫৩ দিনের টানা অবরোধে এ খাতে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ট্যুরিজম সেক্টর : চ্যালেঞ্জ অ্যাহেড’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান টোয়াবের সভাপতি প্রফেসর ড. আকবর উদ্দিন আহমাদ।
আকবর উদ্দিন বলেন, ‘গত তিন বছর ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটন শিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণত শীতকালই পর্যটনের প্রধান মৌসুম। কিন্তু টানা অবরোধে কারণে পর্যটন খাতে ব্যবসা কমেছে প্রায় ৯৫ শতাংশ। এই সময়ে এ খাতে দুই হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে।’
টোয়াবের ৩০০ সদস্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সবাই আজ অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন। আর যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে তাদেরকে ঋণ পরিশোধেও তাড়া দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক সমস্যার মাসুল আমরা কেন এভাবে দিয়ে যাব?’
এ সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দাবি করে বলেন, ‘পর্যটন খাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক অনুদান, বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের জন্য আয়কর মওকুফ এবং ব্যাংক বা অন্য কোন আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে যারা ঋণ গ্রহণ করছেন তাদের উক্ত সময়ের সুদ মওকুফ করে দিতে হবে।’
পর্যটন শিল্প বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান প্রফেসর ড. আকবর উদ্দিন আহমাদ।
টোয়াব সদস্য এসএম মোকসেদুল ইসলাম মাসুম বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে গাড়ি পুড়লে প্রধানমন্ত্রী গাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। এ সময়ে পর্যটন খাতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু আমাদের দিকে দেখবে কে?’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে যদি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেখতে চাই তাহলে বলতে হবে সবার উপরে পর্যটন খাত।’
এসময় পর্যটন খাতকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- টোয়াব সহ-সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, মো. হাফিজুর রহমান ফারুক, পরিচালক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন্স) আরএইচএম ইমরান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হাকিম আলী প্রমুখ।