নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল হাসনাত (৩৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। এ সময় তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের এক ব্যক্তিকে আটকে করে রাখেন হাসনাত। পরে ছাড়িয়ে আনতে কয়েক গ্রামবাসী তার বাড়িতে গেলে তাদের কুপিয়ে আহত করে সে। এর প্রতিবাদে প্রতিপক্ষের লোকজন হাসনাতকে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের রতনপুর মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুই দিন আগে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের জৈনপুর এলাকার আলী আজগরের ছেলে শাহপরানের সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসী আবুল হাসনাতের বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে সন্ত্রাসী হাসনাত শনিবার ১১টার দিকে শাহপরানকে তুলে নিয়ে তার বাড়ির পাশের নোয়াব মিয়ার বাড়িতে আটক করে রাখে। এ খবরে দুপুরে গ্রামবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হাসনাতের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসী হাসনাত ঘর থেকে বের হয়ে ধারালো রামদা দিয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায় বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীর সঙ্গে প্রতিপক্ষের লোকজনও হাসনাতকে ধাওয়া করে পাশের মারিখালি নদের পারে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাসনাতকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাধা দিলে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পরে আহত হাসনাতকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসনাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, হাসনাতের একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে গ্রামবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল। আর এসব কারণেই বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীর হাতে হাসনাত খুন হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।