সিসিনিউজ: শের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করের আওতায় আনতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
শুধু তাই নয় বিষয়টি কার্যকর করতে এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের নির্দেশও দিয়েছেন বলে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধের বিধান রেখে আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমপিও ভুক্ত বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল, কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থেও ক্রয়কৃত সঞ্চয়পত্রের ওপর প্রাপ্ত মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করতে হবে। এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সম্প্রতি অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে আসে। নির্দেশনায় দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ১০ শতাংশ হারে আয়করের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।
এ জন্য আয়কর আইন ১৯৮৪ সালের ৫৩ ধারার (এফ) বিধির ১৭ এইচ সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল, ইঞ্জিনিয়োরিং, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক কলেজ ইনস্টিটিউশনকে ১০ শতাংশ আয়করের আওতায় আনার জন্য আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে এনবিআর।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দশনায় আরো বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি কারিকুলামে পাঠ দান করে ও সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয় তাদেরকেও ১০ শতাংশ আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
আইন সংশোধনের পরই উল্লিখিত সব বিনিয়োগের ওপরও উৎসে আয়কর আদায় করবে এনবিআর। যা আসছে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
এ বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের আয়কর বিভাগের ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, আসছে অর্থবছরে দেশের রাজস্ব আদায়ের প্রধান উৎস হতে যাচ্ছে প্রত্যক্ষ কর। দিনে দিনে এই খাত আরো প্রসারিত হবে। তাই প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্র বিস্তৃতির জন্য সরকারের নির্দেশে এনবিআর কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর সঙ্গে জড়িতের ওপর কর আরেপের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই এনবিআর আইন সংস্কার করছে। আর সংশোধিত আইন সামনের অর্থবছর থেকে কার্যকর হবে।