নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূঁইগড়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির সময় পুলিশ জনতা মিলে চার ডাকাতকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি হাতকড়া, একটি মাইক্রোবাস ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ডাকাত দলের অপর এক সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে আটটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফতুল্লার ভূঁইগড় এলাকায় পাঁচ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ঢাকা থেকে আসা নারায়ণগঞ্জ শহরগামী বন্ধন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থামায়। তাদের কাছে থাকা ওয়াকিটকি ও হাতকড়া দেখিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা যাত্রীদের টাকা পয়সা লুটপাট শুরু করলে শরীফ নামের এক যাত্রী চিৎকার দিলে টহলরত পুলিশ এগিয়ে আসে। সে সময় ডাকাতরা মাইক্রোবাস নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ও জনতা মিলে ধাওয়া করে চার ডাকাতকে আটক করে।
আটককৃত ডাকাতরা হলো চট্রগামের বাবুল হোসেনের ছেলে নাসিরউদ্দিন, মতলব এলাকার রসুল দেওয়ানের ছেলে গিয়াসউদ্দিন, সিরাজগঞ্জের মো. মাজেদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ও কুমিল্লার সিরাজুল ইসলামের ছেলে স্বাধীন। স্বাধীন ওই মাইক্রোবাসটির চালক। তবে পুলিশের ধাওয়ার সময় হানিফ নামের এক ডাকাত সদস্য ওয়াকিটকি নিয়ে পালিয়ে যায়।
আটককৃত ডাকাতরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে আসছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ পলাতক ডাকাত হানিফকে আটকের চেষ্টা করছে।
এদিকে বন্ধন বাসের যাত্রী শরীফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার একই স্থানে বন্ধন বাস থামিয়ে ওই ডাকাতরা একই কায়দায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার কাছ থেকে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গিয়েছিল। তবে ওই ঘটনার ব্যাপারে তিনি থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। আজ ডাকাতির সময় তিনি তাদেরকে চিনতে পেরে চিৎকার দিয়ে পুলিশ ডাকেন।
শরীফ বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় থাকেন। পুলিশের ধারণা, শরীফ হুন্ডির ব্যবসা করেন। তাই পুলিশের কাছে তিনি ওই দিনের ডাকাতির ঘটনাটি চেপে গিয়েছিলেন। পুলিশ তার ব্যাপারেও খোঁজ খবর নিচ্ছে।