সিসি নিউজ: মাত্র সাত মিনিটের টর্নেডোর আঘাতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের মাগুড়া ইউনিয়নের তিন সহস্রাধিক পরিবারের আন্তত পাঁচ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আঘাত হানা ওই টর্নেডোতে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পরে পড়ে। গাছপালা ও ঘর চাপা পড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও কয়েক শত হেক্টর জমির উঠতি ফসল সম্পন্ন নষ্ট হয়েছে।
মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাহার হোসেন শাহ দুলাল জানান, সাত মিনিট স্থায়ী এই টর্নেডোতে তার ইউনিয়নের কুটিপাড়া, কলেজ পাড়া, বানিয়াপাড়া, মিয়াপাড়া, বালাপাড়া, তেলিপাড়া ও কাজীপাড়াসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের তিন হাজার পরিবারের অন্তত পাঁচ সহশ্রাধীক কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এসময় অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়ে । রাস্তার উপর গাছপালা উপড়ে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। এসময় গাছাপালা ও ঘরচাপা পড়ে অন্তত ১০ জন মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা সেব দেওয়া হয়েছে। এসময় জমিতে থাকা ধান, ভুট্টা ও মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্থরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় পাঁচ কোটি টাকারও বেশি হবে। সকালে নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রশীদুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরির্দশন করে সহায়তার আশ্বাস দেন।
ক্ষতিগ্রস্থ মিয়া পাড়া গ্রামের মাহমুদুল হোসেন (৪৫) জানান, রাতে মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডোতে নিমিষেই লন্ড ভন্ড হয়ে যায় ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি গ্রাম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মিয়াপাড়া ও কামাতপাড়া গ্রামটি। এই গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবারের ঘর-বাড়ি, গাছপালা উপড়ে পড়ে। এসময় ঘর ও গাছ চাপা পড়ে অন্তত ৫জন আহত হন মিয়া পাড়া গ্রামে।
রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করে জানান, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি গ্রস্থদের তালিকা প্রনয়নের কাজ চলছে। দুপুরের ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে এক হাজার নগদ টাকা, ১০কেজি চাল, এক কেজি চিরা ও আড়াশ গ্রাম গুড় দেওয়া হয়েছে। তালিকা প্রনোয়ন শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্থদের পুনঃবাসনের জন্য জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নগদ অর্থ ও ঢেউ টিনের চাহিদা পাঠানো হবে।
[vsw id=”dKU0ae2MndU” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”no”]