আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর সিউদাদ আকুনা’য় সোমবার একটি বড় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। ওই ঝড়ে কমপক্ষে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে আরো বহু মানুষ। এছাড়া এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার মেক্সিকোর কোয়াহুইলা প্রদেশের সিউদাদ আকুনা শহরটিতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর প্রদেশের গভর্নর রুবেন মোনিয়েরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঝড়ে তিন শিশুসহ কমপক্ষে ১৩ জন মারা গেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরো এক শিশু।
ওই ঘূর্ণিঝড়ে আহত দেড়শ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ কারণে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে সিউদাদ আকুনা শহরের মেয়র এভারিস্তো লেনিন পেরেজ জানিয়েছেন, ‘সোমবারের ওই ঝড়ে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের অধিকাংশই বাইরে ছিলেন। যারা ঘরে ছিলেন তারা রক্ষা পেয়েছেন।’
আকুয়া শহরে এটিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়। মেয়র পেজে বলছেন, গত একশ বছরেরও বেশি সময় আগে শহরটির পত্তন হওয়ার পর এখানে এটিই হচ্ছে প্রথম ঘূর্ণিঝড়।
ঝড়ে শত শত ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং বহু যানবহনের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে মেক্সিকোর ‘লা জোরনাদা’ পত্রিকা জানিয়েছে, ঝড় অনেক গাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বাড়ির ছাদে ফেলেছে। রাস্তার এখানে সেখানে পরে আছে মৃতদেহ।
ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্বজনদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো বলেছেন, এই প্রাকৃতিকে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে তার সরকার। মঙ্গলবার তার ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলো সফর করার কথা রয়েছে।