সিসি ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকার পর এবার প্রশাসন ভবনে পাওয়া গেল বিষধর গোখরা সাপ।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষাক্ত পোকা-মাকড় ও সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং রাতে পাহারাদার আনসার সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, বৃহস্প্রতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের নিচ তলায় পরিবহন শাখার উপ-রেজিস্টার কামরুল হাসানের রুম থেকে প্রায় সাড়ে চার ফিট লম্বা একটি গোখরা সাপ মারা হয়। সকালে পরিবহণ অফিসের পিয়ন ফিরোজ উপ-রেজিস্টর কামরুল হাসানের রুম পরিস্কার করছিল।
এ সময় অফিসের আলমারির উপরে রাখা পরিত্যক্ত কাগজ-পত্রে হাত দিলে সাপটি ফঁস করে আওয়াজ করে। আওয়াজ শুনে পরিস্কার কর্মী ফিরোজ লাফিয়ে মেঝেতে পরে যায় এবং সাপ বলে চিৎকার করে রুমের বাইরে চলে আসে। চিৎকার শুনে আসপাশ থেকে সবাই ছুঁটে আসে।
পরে সাপটি পরিবহন চালক ধনি, বাদল ও ফারুকের সহযোগিতায় মারা হয়। ঘটনা জানাজানি হলে প্রশাসন ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্কে অফিস থেকে বের হয়ে বাইরে অবস্থান নেয়।
এর আগে শিক্ষদের আবাসিক এলাকা থেকে একটি গোখরা সাপ মার পরেছিল। এছাড়াও মাস খানেক আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলের নিচ তলার দুটি রুমে সাপ পাওয়া যায়। সর্বশেষ গত রোববার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক ছাত্রী হলের টয়লেটে ও বাথরুমে সাপ পাওয়া যায়।
এদিকে বারবার সাপের উপদ্রপে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে পাহারাদার আনসার বাহিনীর সদস্যরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পরেছে। রাতের অন্ধকারে পাহারা দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।
আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন- “এত বড় বড় ভবন একা একা পাহারা দিতে এমনিতে ভয় লাগে। এপর সাপের কথা শোনার পর থেকে মনের মধ্যে ভিতি কাজ করছে।”
লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, সন্ধা হলে রাস্তায় হাটতে খুব ভয় হয়। মনে আতঙ্ক কাজ করে। ক্যাম্পাস খোলার একমাস পাড় হলেও রাস্তার আসপাশ এখনো ঝোপঝাড়ে ভরা। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করছি।
এস্টেট শাখার প্রধান পারভেজ মিয়া বলেন- “আমরা পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছি। বৃষ্টির কারণে কাজ বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। আশাকরি খুব দ্রুত ক্যাম্পাসের সকল ঝোপঝাড় পরিস্কার হয়ে যাবে।