সিলেট : পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, আমরা শিক্ষানীতি করেছিলাম, এতে রয়ে গেছে অনেক বৈষম্য। অভিভাবক সম্মেলন ডেকে এসব বৈষম্য চিহ্নিত করে শিক্ষানীতি সংশোধন করতে হবে। প্রাথমিক শ্রেণিতে ভবিষ্যতে কোনো ভর্তি পরীক্ষা হবে না। প্রধানমন্ত্রী এই বৈষম্য ধরতে পেরেছেন। পিএসসি পরীক্ষা যে সুফলের আশায় চালু হয়েছিল, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর একটি রেস্তোরাঁর হলরুমে গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও এফআইভিডিবির আয়োজনে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা ও সবার জন্য শিক্ষা : ২০১৫-উত্তর কর্মকাঠামো’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে সমাজ থেকে দুর্নীতি আমাদেরকেই দূর করতে হবে। না হলে উন্নয়ন হবে না। গণতন্ত্র পরিপূর্ণ রূপ পাবে না।
এফআইভিডিবির নির্বাহী পরিচালক যেহীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা আইন ও শালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, অ্যাডভোকেট বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য, শাবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, খন্দকার মশিউর রহমান, কয়েস আহমদ, হোসনে আরা, বাবুল আখতার, মো. আবু নাসের, সেলিম আউয়াল প্রমুখ।