সিসি ডেস্ক: ভারতের শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে যে স্বৈরতন্ত্র চলছে তা যে কোন সময় গণবিস্ফোরণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
শনিবার বিকেলে টেলিফোনে আমাদের সময় ডটকমের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন,‘ইতিহাসে স্বৈরতন্ত্রের পতনের কোনো পূর্বাভাসের নজির নেই। বর্তমান বাংলাশে গণবিদ্রোহের অগ্নিগর্ভ চাপ মোকাবিলা করছে। এ পরিস্থিতিতে যে কোন সময় গণ বিস্ফোরণে মারাত্মক অনাকাক্সিক্ষত ও অগণতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিতে পারে।’
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে গত প্রায় চার মাস ধরে শর্তযুক্ত জামিনে রয়েছেন বিএনপির এই সাবেক মুখপাত্র। সেখান থেকে তিনি টেলিফোনে নিয়মিত বাংলাদেশে অবস্থারত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
এ ছাড়াও তিনি প্রায় এক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্ট্যাটাসও দিচ্ছেন।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে তার সঙ্গে শিলংয়ে সাক্ষাত করতে যাওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন এবং রাজপথে বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ ঢাকা থেকে ‘নিখোঁজ’ হন সালাহ উদ্দিন। এর প্রায় দুই মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিঙ্ক রোড থেকে তাকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। প্রথমে মানসিক রোগী ভেবে পুলিশ তাকে শিলংয়ের মিমহ্যান্স মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। তার পরিচয় জানার পর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০ মে তাকে শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
২৬ মে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে ২৭ মে আদালতে তোলা হয়। শিলং আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ উদ্দিনকে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই রাতেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরদিন তাকে আবারও নেগ্রিমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে দায়েরকৃত মামলায় সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩ জুন আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
৫ জুন শিলংয়ের নিম্ন আদালতের বিচারক ভি মৌরি শর্তসাপেক্ষে সালাহ উদ্দিনের জামিন মঞ্জুর করেন। ৮ জুন সালাহউদ্দিন হাসপাতাল থেকে ভাড়া বাসায় ওঠেন। ১০ জুন মামলার ধার্য তারিখে আদালত সালাহউদ্দিনের জামিন বহাল রাখেন। গত জুলাইয়ে মামলার বিচারকার্যও শুরু হয়েছে। আস