সিসি নিউজ : মৃত্যু হয়েছে স্বামীর প্রায় ৫ মাস হয়ে গিয়েছে। বয়েসের শেষপ্রান্তে এসে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ কখনই মেনে নিতে চাননি স্ত্রী। তাই প্রায় ৫ মাস ধরে স্বামীর মৃতদেহ আগলে বসে থাকলেন তিনি। শধু বসে থাকা নয়, প্রত্যেকদিন তাকে স্নান করিয়েছেন, নিয়মিত খেতে দিয়েছেন। এমনকি বদলে দিয়েছেন জামাকাপড়ও। শেষমেশ ডিসেম্বরে পুলিশ বাডি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে ওই পচাগলা মৃতদেহ। এ যেন আরও ১ হিচককের গল্প। যদিও ১ গল্পের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় সম্প্রতি কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের। সেখানেও দীর্ঘদিন ধরে দিদি এবং বাবার মৃতদেহ আগলে রেখেছিল ভাই। সঙ্গে ছিল ২ টি কুকুরের কঙ্কালও। শুধু কলকাতার রবিনসন নয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় এর পর পর বেশ কিছু একই ঘটনার উদাহরণ দেখতে পাওয়া যায়।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের উত্তর ওয়েলিংটনে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে বাস করতেন সেখানেই। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই মহিলার স্বামী অসুস্থ ছিলেন। গত অগস্টে মৃত্যু হয় তাঁর। আত্মীয়স্বজনকে সেই কথা সম্পূর্ণভাবে চেপে গিয়েছিলেন স্ত্রী। ফলে দেহ সৎকারের কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি। পুলিশ জানায়, পচে যাওয়ার ফলে মৃতদেহটি শনাক্ত করা যায়নি। ওই মহিলা দেহটি তাঁর স্বামীর বলে পুলিশকে জানালেও তদন্তের খাতিরে দেহটির দাঁতের নমুনা নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। মহিলার বয়ান নথিভুক্ত করার পরে পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি আদৌ ওই মহিলার স্বামীর কি না, তা রিপোর্ট পেলেই স্পষ্ট হবে। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।