সিসি নিউজ: নীলফামারীর সৈয়দপুর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল্লাহ সরকারের নিয়োগ সম্পুর্নভাবে অবৈধ মর্মে অভিযোগ উঠেছে। কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শামীম আহমেদ কর্তৃক পরিষদের সভাপতি বরাবরে লিখিত অভিযোগে এমন তথ্য মিলেছে।
অভিযোগ মতে, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহা: আইউব আলী সরকার অর্থের বিনিময়ে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতির অগোচরে ইংরেজী প্রভাষক আব্দুল্লাহ সরকারকে ১৯৯৫ সালে শর্ত সাপেক্ষে মাস্টার্স এপিয়ার্ড সনদ দিয়ে নিয়োগ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ওই প্রভাষক উক্ত পদে এমপিওভুক্ত হওয়ার পর ৩য় শ্রেনীতে মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন অধ্যক্ষ বিষয়টি পরিচালনা পরিষদকে জানান। পরিচালনা পরিষদের এক সভায় ওই প্রভাষক আগামী দুই বৎসরের মধ্যে মাস্টার্স বিভাগ উন্নয়ণ করার অঙ্গিকার পত্র প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি প্রায় ৫ বছর পরে বিভাগ উন্নয়ণ না করে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২য় শ্রেনীতে মাস্টার্স পাশ করার সনদ প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় ২০০৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিটে ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল্লাহ সরকারের চাকুরী অবৈধ ঘোষণা করেন এবং উত্তোলনকৃত বেতন-ভাতার ৬,৮২,৮৬১ টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দেয়ার রিপোর্ট প্রদান করেন। সে সময় কুটকৌশলে প্রভাষক আব্দুল্লা সরকার ওই যাত্রা থেকে রক্ষা পান।
২০০৯ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো, মোখলেছুর রহমান ইংরেজী প্রভাষকের নিয়োগ ও সনদ সম্পর্কিত বিষয়টি আবারো পরিচালনা পরিষদের দৃষ্টিগোচর করলে ওই প্রভাষক দুই বছরের মধ্যে বিভাগ উন্নয়নের সনদ পত্র প্রদান করবেন মর্মে অঙ্গিকার পত্র জমা দেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিটে ২০০৬ সালের অডিটের ন্যায় ওই প্রভাষকের চাকুরী অবৈধ ঘোষণা দেন এবং এমপিও ভুক্তির তারিখ হতে ২০১৫ সালের অডিটকালীন সময় পর্যন্ত সমুদয় টাকা ফেরতের নির্দেশ দেন।
কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিটের এমন আপত্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ওই প্রভাষক কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দাপটের সাথে কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী শামীম আহমেদ।
তবে এ প্রসঙ্গে কথা হয় ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল্লাহ সরকারের সাথে। তিনি তার নিয়োগকে বৈধ উল্লেখ করে সিসি নিউজকে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাই তারাই জানবেন আমার নিয়োগ বৈধ নাকি অবৈধ। একটি মহল ব্যাক্তি আক্রোশে বিভিন্ন দপ্তরে এমন উদ্ভট অভিযোগ করছে। মন্ত্রণালয় কি নির্দেশ দিচ্ছে সেটাই দেখার বিষয়।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) সাবিনা সালাম সিসি নিউজকে জানান, অভিযোগের কপি পেয়েছি এবং তা নথিজাত করা হয়েছে।