সিসি নিউজ, ৩১ জানুয়ারী।। সৈয়দপুর প্লাজায় দোকান নিয়ে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির মামলার প্রধান আসামী শাহজাহান আলী কাজলকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার (৩০ জানুয়ারী) নীলফামারী জেলা দায়রা জজ আদালতে ওই মামলার ৬ আসামীর মধ্যে তিন আসামী মনসুর আলী, তার দুই পুত্র শাহজাহান আলী কাজল ও আশরাফুল ইসলাম বাবলু হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কাজলের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তবে অপর দুই আসামী মনসুর আলী ও আশরাফুল ইসলাম বাবুলের জামিন মন্জুর করেছে আদালত।
উল্লেখ্য যে, গত রোববার (২৭ জানুয়ারী) আদালতে ওই মামলার ধার্য্য তারিখে হাজির না হওয়ায় সৈয়দপুর প্লাজার প্রকল্প পরিচালক আলহাজ্ব গুলজার আহম্মেদ সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত।
বর্তমানে ওই মামলার অপর তিন আসামী আলহাজ্ব গুলজার আহম্মেদ এবং দিনাজপুর ফুলবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী আফজাল হোসেন ও তার স্ত্রী হেলেনা আফজাল পলাতক রয়েছেন। আফজাল হোসেন ও হেলেনা আফজাল পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মাঝদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বাকী আসামীরা সৈয়দপুর শহরের স্থায়ী বাসিন্দা।
সূত্র মতে, সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ ওয়াপদা পাড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র ব্যবসায়ী মমিনুল ইসলাম মিঠু ২০১৮ সালের ২৭ জুন নিজে বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় উল্লেখিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০/৪৬৫/৩৮৫/১০৯ পেনাল কোড (নিয়ন্ত্রণ নং ২৭২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আরজি মতে, শাহজাহান আলী কাজলের নিকট থেকে ২০১৭ সালের ৫ আগষ্ট বাদী মমিনুল ইসলাম মিঠু সৈয়দপুর প্লাজার নীচতলার আই ব্লকের ১২০ বর্গফুট আয়তনের ১৫ নং দোকানটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। এ সময় প্লাজা পরিচালনার নীতিমালা মোতাবেক প্রকল্প পরিচালক আলহাজ্ব গুলজার আহম্মেদের উপস্থিতিতে তিনটি ১০০ টাকা মূল্যের ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে ‘দোকানের পজেশন বিক্রির চুক্তিপত্র’ সম্পাদন করা হয়। কদিনের মধ্যে শাহজাহান আলী কাজল ক্রেতার মমিনুল ইসলাম মিঠুর কাছে ক্রয়কৃত দোকানটি হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মামলায় উল্লেখিত আসামীদ্বয় বাদীকে দোকান হস্তান্তর না করিয়া প্রতারণা উদ্দেশ্যে নানা তালবাহানা করিতে থাকে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান পাশা আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।