নীলফামারী, ৩০ জুলাই।। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আইন বাস্তবায়নে কার্পন্য দেখানো হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, আইন অমান্যকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা আরো বৃদ্ধি করা হবে।
বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন, বর এসেছে- এ মুহুর্ত্বে প্রশাসন হাজির হয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করছে এরকম পরিস্থিতিতে আমরা বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে চাই না। এক্ষেত্রে আমরা চাই আরো সাতদিন আগে খবর পেতে, সে ব্যবস্থা করতে হবে আমাদের।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে আরডিআরএস নীলফামারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে নিকাহ রেজিস্টারের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, সমাজ সেবা অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক ইমাম হাসিম, জেলা রেজিস্টার লুৎফর রহমান বক্তব্য দেন।
ডিসি বলেন, সাসটেইনেবল গোল অর্জণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তার প্রতিজ্ঞা আমরা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। ২০৪১ সালের মধ্যে একটিও বাল্য বিবাহ থাকবে না। এনিয়ে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিকাহ রেজিস্টারদের অফিস স্থাপন, বৈধ নিকাহ রেজিস্টারদের তালিকা প্রকাশ এবং দিনের বেলাতেই বিবাহ সম্পন্নের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে সাংবাদিক তাহমিন হক ববি, কিশোরগঞ্জের নিকাহ রেহিস্টার জাহাঙ্গির আলম, নুরুল হুদা ও ডিমলা উপজেলার হাবিবুর রহমান বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কিশোর কিশোরীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের সমন্বয়কারী সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য দেন।
ডিমলা, ডোমার ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার ত্রিশজন নিকাহ রেজিস্টার এতে অংশগ্রহণ করেন।
আরডিআরএস ক্ষুদ্র কর্মসুচীর বিদ্যুৎ কুমার সাহা, গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন আলোচনা সভায়।