• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন |
শিরোনাম :
ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, শীর্ষ মাওবাদী নেতাসহ নিহত ২৯ হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির দায়ে দুই যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড খানসামায় ৩৫ শতক জমির পটল গাছ উপড়ে দিলো দূর্বৃত্তরা ফুলবাড়ীতে বৈশাখী মঞ্চে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলেন পৌর মেয়র নীলফামারীতে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ ব্যক্তি কারাগারে নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁর ভাইসহ তিনজনকে অপহরণ ইরানের ওপর মার্কিন হামলার অনুমতি দিচ্ছে না উপসাগরীয় দেশগুলো নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ২ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ২ শিশু

দেশে আরো ৫ করোনা রোগী শনাক্ত

সিসি ডেস্ক, ৩ এপ্রিল ।। দেশে আরো ৫ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি জানান, বর্তমানে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬১ জনের শরীরে, এদের মধ্যে মারা গেছেন ছয়জন।

তিনি বলেন, ‘করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিটের সংকট নেই। রাজধানীসহ সারা দেশে নমুনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।’

করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীদের স্বপ্রনোদিত হয়ে বেশি বেশি করে নমুনা পরীক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে যোগাযোগের আহ্বান জানান মন্ত্রী। প্রয়োজন ছাড়া বাসাবাড়ি থেকে বের না হতে দেশবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরে ১২৬টি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৩৮৭টি নমুনাসহ মোট ৫১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৫টি নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বাইরের ৩টি নমুনাতে করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে আছেন ২২ জন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৭ জনসহ ২৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৬ জন মারা গেছেন।

তিনি জানান, ঢাকায় ৯টি আরটি-পিসিআর এবং ঢাকার বাইরে ৫টিসহ মোট ১৪টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যে সারা দেশে ২৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষাগার স্থাপিত হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, ৬৪ হাজার ৪৮৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। এর মধ্যে ৬৪ হাজার ২৩৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং ২৪৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয় এবং ১০ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

করোনা প্রতিরোধে দেশবাসীকে কোয়ারেন্টাইন বিধিমালা কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে প্রতিরোধে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ব্যক্তি পর্যায়ে সতর্ক থাকলে করোনা বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।’

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সবশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন। মারা গেছেন ৬ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ জন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

এদিকে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৩ হাজার ১৯০ জনের এবং আক্রান্তদের ২ লাখ ১২ হাজার ২২৯ জন সুস্থ হয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬ জন। মারা গেছেন ৬ হাজার ৭৫ জন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ