সিসি নিউজ ।। উত্তর জনপদ নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বুধবার রাতে বৃষ্টিপাতের পর এ অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সে সাথে বাড়ছে ঘন কুয়াশা। হালকা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরবাসী আর ছিন্নমূল ও শ্রমজীবি মানুষেরা আবারো শীতে কাতর হয়ে পড়েছে। দিনের বিভিন্ন সময়ে ঘড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে গ্রামের মানুষরা।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা বুধবার ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। গত ২৪ ঘন্টায় এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ মিলিমিটার।
তিনি জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলে আর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা বাড়বে এবং তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর নীচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে প্রতিদিন ঘন কুয়াশার কারনে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দেশের আভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী সকল ফ্লাইটের সিডিউল পরিবর্তন করেছে কোম্পানীগুলো।
সহকারী লোকোমাস্টার (ট্রেন চালক) আব্দুল কুদ্দুস জানান, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রেলপথের আন্তঃনগর ও পন্যবাহী ট্রেনগুলো ঘন কুয়াশায় রেলওয়ের উর্ধতণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সর্তকতার সাথে চলাচল করছে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারনে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বেলে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। এতে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারছে না।
জেলা সদরের পৌর মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী হাফিজুল ইসলাম জানান, দুদিন আগে তাপমাত্রা বেশি থাকায় দোকানে গরম কাপড়ের ক্রেতা একেবারে শুন্য হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় আবারো বেড়েছে। তাঁর মতে, শীত নিবারনের জন্য স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভীড় করছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে ৩০ হাজার ১শত কম্বল শীতবস্ত্র হিসেবে বিতরন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাক্তি উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করছে।