• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন |

মৃত্যু পরোয়ানা শুনলেন সাকা-মুজাহিদ

SHAKA1443605729সিসি ডেস্ক: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীর মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। এর আধা ঘণ্টা পর ফাঁসির সেলে থাকা মুজাহিদকে তা পড়ে শোনান কারা কর্মকর্তারা।

বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীর মৃত্যু পরোয়ানার কপি গাজীপুরস্থ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ পাঠানো হয়। ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা সাংবাদিকদের জানান, রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে সাকার মৃত্যুর পরোয়ানার কপি কারাগারে পৌঁছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কপি আইজিপি (প্রিজন) বরাবর পাঠানো হয়। তার পক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরোয়ানা দুটি গ্রহণ করেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নেসার আলম।

আর এর মধ্য দিয়ে দেশের শীর্ষ এই দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করল কারা কর্তৃপক্ষ। আইসিটি আইন অনুযায়ী, সরকারের তত্ত্বাবধানে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির।

এর আগে দুপুর ৩টায় লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হন জ্যেষ্ঠ আইন গবেষণা কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদ, লাইব্রেরিয়ান তাপস কুমার রায় এবং ডেসপাস রাইডার সিরাজুল ইসলাম। কারা কর্তৃপক্ষের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে (ঢাকার জেলা প্রশাসক) কপি পৌঁছে দেন তারা।

কারাগার ছাড়া বাকি তিন জায়গায় মৃত্যু পরোয়ানার সঙ্গে পাঠানো হয়েছে মুজাহিদ-সাকার আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ চূড়ান্ত রায়ের অনুলিপিও।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর পৃথক দুই মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক এবং বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। এরপর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহীদুল আলম ঝিনুক।

মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানোর আগে প্রেস ব্রিফিংয়ে রেজিস্ট্রার ঝিনুক জানান, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাইব্যুনালের কাছে উপস্থাপন করি। মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেন তিন বিচারপতি। এরপর কিছু আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুটি মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আইজিপি (প্রিজন) বরাবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।

আইন অনুসারে মৃত্যু পরোয়ানা শোনানোর পর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না অথবা রিভিউ আবেদন করবেন কি না তা তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা ইচ্ছা করলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন। ক্ষমা না চাইলে ফাঁসি কার্যকর করার শেষ ধাপগুলো সম্পন্ন করা হবে।

তবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের দিন থেকে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করার জন্য ১৫ দিন সময় পাচ্ছেন আসামিপক্ষ। তারা যদি এ সময়ের মধ্যে রিভিউ করেন তাহলে ফাঁসি কার্যকর প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। রিভিউ নিষ্পত্তির পর বা রিভিউ খারিজ হলে এ প্রক্রিয়া ফের শুরু হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ